দীর্ঘ ১০ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা খাত। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুরুতেই যাদের টিকা দেওয়া হবে সে তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাখা উচিত। তাহলে তারা শিক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে এবং দ্রুত শুরু করতে পারবে। এছাড়া দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট বাড়ছে। ফলে এসব শিক্ষার্থীর জন্য শুরুতেই করোনার টিকা দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘একটা সময় তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতেই হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভয় তাড়িয়ে আশার সঞ্চার করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের নিরাপদ মনে করে তবেই তারা স্কুলে আসবে। আবার তাদের জীবনের ঝুঁকিও নেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে করোনার টিকার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার তালিকায়ই রাখা উচিত। তবে এটাও ঠিক, আগের মতো স্কুলের কথা চিন্তা করলে হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে।’
কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘করোনায় শিক্ষার যে ক্ষতি এরই মধ্যে হয়ে গেছে, তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে আছে। তাদের সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শহরের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কিছুটা পড়ালেখা করলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার বাইরে চলে গেছে। যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া যায়, তাহলে তাদের শ্রেণিকক্ষে সহজেই আনা সম্ভব। এ অবস্থায় করোনার টিকা প্রাপ্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সব কিছুই চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ঘরে বসে আছে, তাই করোনার বিরুদ্ধে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সেভাবে তৈরি হয়নি। এ জন্য আমি মনে করি, করোনার টিকা প্রাপ্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা শুরুতেই ভাবা উচিত।’