গ্রামীণফোনের সার্ভার থেকে গ্রাহকের তথ্য চুরি করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে পারভীন আক্তার নূপুর ও শেফালি বেগম নামে দুই বোনকে আটক করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
পুলিশের হাতে আটক চক্রের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন গ্রামীণফোনের কর্মী রুবেল মাহমুদ অনিক এবং শামসুদ্দোহা খান বাবু। এই চক্রকে টার্গেট করা ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করে গ্রামীণফোনের সার্ভিস সেন্টারের কর্মী রুবেল মাহমুদ অনিক। চক্রের আরেক সদস্য আইনজীবী পরিচয়দানকারী ইসা এখনও পলাতক।
জানা গেছে, পারভীন আক্তার নূপুরের নেতৃত্বে চক্রের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে। টার্গেট ব্যক্তির সব ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে পরিবারের সব সদস্যকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ‘৫-৬ সদস্যের এই সংঘবদ্ধ চক্রটি উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ষাটোর্ধ্ব বয়সের লোকজনই তাদের মূল টার্গেট। চক্রের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ২০-২৫ জনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এই চক্রকে সমূলে উৎপাটনের পাশাপাশি এদের পৃষ্ঠপোষকদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রামীণফোন সার্ভিস সেন্টারে কর্মরত একজন স্টাফ, এই ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সদস্য হিসেবে টাকার বিনিময়ে যেভাবে সিম রেজিস্ট্রেশনে ব্যবহৃত একান্ত গোপনীয় তথ্যগুলো পাচার করছে। এমন হলে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা কোথায়? মোবাইল অপারেটরের কোনো গাফিলতি থাকলে বা এই তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে’।