সুনামগঞ্জে পাঁচ মাস বয়সী সন্তানের মুখ দেখানোর কথা বলে বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে সাবেক স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার (১ মে) রাতে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের খাগেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবুল বাশার একই ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের ড. মো. হোসেন আলীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন মুদি দোকানি। ঘটনার পর তিনি মৌখিকভাবে পুলিশে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
তবে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রোববার (২ মে) দুপুরে আবুল বাশারের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী (২৫), শাশুড়ি (৪৫) ও শ্বশুরকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
আবুল বাশারের পরিবার জানিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় শনিবার রাতে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
খোঁজ নিয়ে গেছে, চার বছর আগে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আবুল বাশারের সঙ্গে অভিযুক্ত নারীর বিয়ে হয়। তবে ছয়মাস আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এ দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের একমাস পর বাশারের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ছেলে সন্তান। শনিবার (১ মে) রাতে ওই শিশুকে দেখতে বাশারকে শ্বশুরবাড়িতে যেতে বলেন তার সাবেক স্ত্রী।
বাশারের বরাত দিয়ে তার বড় ভাই আব্দুস ছামাদ অভিযোগ করেছেন, সাবেক শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়ি তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবেক স্ত্রী তার বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়। বাশার চিৎকার দিলে আশপাশের বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রাক্তন স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কাটার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অভিযুক্ত তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মামলা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’