সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করায় ধর্ষণ অবশ্যই কমে আসবে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘না হলে সাজা বাড়ানোর প্রশ্নটায় আসতাম না।’ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘সাজা বাড়ানোর ব্যাপারটা এসেছে পরিস্থিতির কারণে। আপনারা জানেন বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। তারপরও আমাদের দেশে এই ঘৃণ্য অপরাধটির যে চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন, এটা বাড়ানো উচিত। তাই মন্ত্রিসভায় নারী নির্যাতন আইনের সংশোধনীটা উপস্থাপন করেছি। আইনের ৯ এর (১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড প্রতিস্থাপিত হবে। এটা অনুমোদন করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অধ্যাদেশ জারির জন্য পাঠানো হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৯ (১) ধারা সংশোধন করা হয়েছে, এর সঙ্গে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ এর ১ (গ) ধারারও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানে যৌতুকের জন্য সাধারণ জখম করার ঘটনা আপোষযোগ্য ছিল না। কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ ওই ধারা আপোষযোগ্য করার নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়েও কথা বলার পর সেখানেও সংশোধন করে আপোষযোগ্য করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচাপরপতিকে ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ জারির অনুরোধ করা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শুধু যে মামালাগুলো পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো নয়, যেগুলো পেছনে আছে ধর্ষণের পুরনো মামলাগুলো আগে নিষ্পত্তি করা হবে। নতুনগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইন প্রক্রিয়ায় শেষ করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আইনি প্রক্রিয়ায় যতটা সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলাগুলোর বিচার যাতে সম্পন্ন করা যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অবশ্যই রক্ষা করা হবে।’
এর আগে সকালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা।