আজ শনিবার থেকে পোশাক কারখানা ও রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথ ব্যবহার করে হাজারো মানুষ নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। আজ শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাবাজার ঘাটে আটকা পড়েছে চার শতাধিক গাড়ি।
মাওয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষের ভিড়ে যানবাহন পার করা সম্ভব হচ্ছে না। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে।
মাদারীপুরের কালকিনি গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের ভালুকার টিএম টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড চাকরি করেন, তিনি জানান, বাড়ি থেকে বের হয়ে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছাতে তার ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে। সড়কে যানবাহন না থাকায় ভ্যান, অটোরিকশা বদলে বদলে আসতে হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ফেরিতে হাজারো মানুষের সঙ্গে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা) শিমুলিয়াঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে ফিরছে মানুষ। তাদের পার করতে গিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে অনেক যানবাহন আটকা পড়েছে। ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জামালউদ্দিন জানান, এখনো অনেক মানুষ ফেরির জন্য ঘাটে অপেক্ষা করছে।
ঢাকার উদ্দেশ্যে শিমুলিয়াঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ঘাট থেকে রাজধানীর কদমতলী পর্যন্ত মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ভাড়া এক হাজার টাকা ও অটোরিকশায় ৩০০ টাকা। অটোরিকশায় গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া ৫০০ টাকা। পোস্তগোলা পর্যন্ত মোটর সাইকেলে জনপ্রতি ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।