রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) শিক্ষক পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন শিক্ষকের স্ত্রী ও ছেলে। শিক্ষক পরিবারের পাঁচজন নিয়োগ পেলেও জানে না বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি।
নিয়োগ তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খন্দকার ফরহাদ হোসেনের (অনিক মাহমুদ) ছেলে ঋত্বিক মাহমুদ সংগীত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। একইভাবে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র’র ছেলে ইন্দ্রানিল মিশ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলামের স্ত্রী ড. সাবিহা ইয়াসমিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইটি হিসেবে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্লানিং কমিটির সদস্য পদ্মীনি দে বলেন, নিয়োগ নিয়ে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির কোনো সভা হয়নি। উপাচার্য কিভাবে নিয়োগ দিয়ে গেছেন সেটা সবাই জানেন।
এদিকে কলেজ পরিদর্শক ও অধ্যাপক ড. আব্দুল গণির স্ত্রী ফারহানা একরাম নিয়োগ পেয়েছেন তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষিকা হিসেবে। সহকারী আবাসিক শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন রিয়াজির স্ত্রী বুরুজ ই জোবাইরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ দরকার হয়। তবে তাদেরকে নিয়োগে বিভাগগুলোর প্ল্যানিং কমিটির কোনো সুপারিশ নেয়া হয়নি। তাই এই নিয়োগ অবৈধভাবে ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।