সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এসময় বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে শুধু রাজনীতিবিদ নয়, সরকারি-কর্মচারীর সংখ্যাই বেশি। তিনি বলেন, অবৈধভাবে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কানাডার টরোন্টোতে রাজনীতিবিদদের পেছনে ফেলে সরকারি কর্মচারীরা বেশি অর্থপাচার করেছেন জেনে নিজে অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ দেশের বিদ্যমান আইন মেনে বিদেশে টাকা পাঠালে ঠিক আছে, তবে যদি তারা অবৈধভাবে অর্থ পাঠিয়ে থাকে তবে সরকার আইনের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনতে পারে। আর অনেক আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে। যারা বিদেশে অর্থপাচার করেছেন তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়, সেটিতে আমি অবাক হয়েছি।’
মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রায় ২৮টি মামলার তথ্য আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। এগুলো যাচাই করতে হবে। মামলাগুলোর মধ্যে মাত্র চারটি হলো রাজনীতিবিদ এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ বাকী মামলাগুলোর সাথে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত।
এসময় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়েও কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন সরকারে সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও জানান এ কে আব্দুল মোমেন।
বিদেশের কারাগারে বন্দি আট বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওমান থেকে সহসাই দেশে আনা হবে তাদের।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টারস‘অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বক্তব্য দেন।