ফাইনালে মেসিকে আটকে দেয়া মানে আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভোঁতা হয়ে যাওয়া। একই কথা নেইমারের ক্ষেত্রেও। তাই কোপা জয়ের লক্ষ্যে এই দুজনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দুই দেশ ও তাদের সমর্থকরা।
সেই সঙ্গে নিজেদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে এক দলের লক্ষ্য থাকবে আরেক দলের মূল খেলোয়াড়কে নিষ্ক্রিয় করে রাখা।
আর নিষ্ক্রিয় করে রাখার পরিকল্পনা করতে গিয়ে রীতিমতো ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে তিতে-স্কালোনির।
ফাইনালের পরিকল্পনা নিয়ে স্কালোনি এখনও কোনো কথা বলেননি। তবে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের কোচ তিতে ঘোষণা দিয়েছেন, মেসিকে কীভাবে আটকাতে হয়, সে কৌশল তার ভালোই জানা আছে।
তবে মেসিকে আটকানোর উপায় তিনি তখনই সবাইকে জানাবেন, যদি আর্জেন্টিনা নেইমারকে আটকানোর উপায় জানায়।
তিতের ভাষ্য, আমরা কী মেসিকে ম্যান মার্ক করব? না জোনাল মার্ক? আমি জানি আমি কী করব। কিন্তু আপনাদের বলব না সেটা। আর্জেন্টিনা যদি আমাদের বলে যে তারা নেইমারকে কীভাবে মার্ক করবে, তাহলেই কেবলমাত্র আমি সবাইকে জানাব যে আমরা মেসিকে কীভাবে মার্ক করব।
প্রসঙ্গত, নিজেদের মাঠে এ পর্যন্ত ব্রাজিলকে ২৪ ম্যাচ খেলিয়েছেন তিতে, জিতেছেন ২১ ম্যাচে, ড্র করেছেন তিনটিতে। হারেননি একটাতেও।
এর আগে ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সেই আসরের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ব্রাজিল।
২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। এই সমীকরণে নেইমাররা একধাপ এগিয়ে মেসিদের চেয়ে।
তবে কোপা আমেরিকার অতীত সমীকরণে নেইমারদের ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেসির আর্জেন্টনা। দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ১৪ বার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, ৯ বার কোপায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল।