করোনা পেন্ডেমিকের কারনে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠাগুলি বন্ধকরে দেয়া হয়।ধাপে ধাপে সরকার লকডাউন দিয়ে করোনা পেন্ডেমিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে সরকার ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেন। তখন অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। ফলে অনেকেই আর ভ্যাকসিন নেয়নি।
এ বছরের জুন মাসের শুরু থেকেই ভ্যাকসিন নেওয়ার চাহিদা বাড়তে থাকে। সরকার যখন ঘোষণা দিলেন ভ্যাকসিনের অন্ততপক্ষে একডোজ যারা না নিবে তারা কাজকর্মে প্রবেশ করতে পারবে না এবং শিক্ষার্থীরা যারা হলে থাকে তারা হলে উঠতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে এখনো করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য মানুষ তাড়াহুড়া করছে।
আজ মঙ্গলবার করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন দেখতে পাওয়া যায়।দুই সারিতে লোক দাঁড়ানো। অনেকই অভিযোগ করে বলেছেন দীর্ঘ আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা তারা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন।
একব্যক্তি প্রেজেন্ট নিউজ ডট নেট কে বলেন “সকাল ছয়টায় এখানে লাইনে দাঁড়িয়েছি এখন বেজেছে ৯:৩০ এর মধ্যে আমি কেবল ৫০থেকে ৬০মিটার এগুতে পেরেছি!” অনেকে আবার অভিযোগ করে বলেন, দেখা যাচ্ছে হয়তো এই লাইন শেষ না হতেই ভ্যাক্সিন নেওয়ার সময় শেষ হয়ে যাবে। আমরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে এসে যদি আজকে ভেক্সিন না নিতে পারি তাহলে এটা সত্যিই আমাদের জন্য কষ্টদায়ক এবং ভোগান্তিকর। আমরা কাজ করে খাই। একদিন কাজ না করলে সংসার চালাতে কষ্ট হয়, সেখানে দুদিন কল্পনা করা যায়!