ভাস্কর্য ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ (একাংশ)। ভাস্কর্য বিতর্কের সুষ্ঠু সমাধান চায় তারা। একই সঙ্গে আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্য করে হেয় প্রতিপন্ন ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য না দেওয়ারও আহবান জানিয়েছে তারা। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এই আহবান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্তে সাম্প্রতিক ভাস্কর্য বিতর্কে সরকার ও আলেম-ওলামাদের মধ্যকার বিরাজমান অস্থিরতা নিরসন করতে হবে। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি জানান। তাদের দাবি-
১) দুইপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে ভাস্কর্য বিতর্কের সুষ্ঠু সমাধান।
২) আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্য করে হেয় প্রতিপন্ন ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য না দেওয়ার আহ্বান।
৩) কারো উসকানিতে দেশের সব ভাস্কর্যের ক্ষতি না করতে সবার প্রতি আহ্বান।
৪) দেশ ও জাতির শান্তি বজায় রাখার নিমিত্তে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান।
৫) ভাস্কর্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড না করার আহ্বান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এই অংশের আহবায়ক এ পি এম সুহেল। তিনি উত্তেজনাবশত বা কারও উস্কানিতে দেশের বিদ্যমান ভাস্কর্যগুলোর কোনো ধরনের ক্ষতি না করতে সবার প্রতি আহবান জানান। এছাড়া দেশ ও জাতির শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের ধর্মীয় উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিহার এবং ভাস্কর্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়—এমন কোনো কর্মকাণ্ড না করারও আহবান জানিয়েছেন।
সদস্য সচিব ইসমাঈল সম্রাট বলেন, চলমান ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সরকার ও আলেম-ওলামা দুপক্ষকেই অতি নমনীয় হওয়ার আহবান জানাই আমরা। সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ আমরা জানি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বরাবরের মতই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে, তা নিরসনে ছাত্র সমাজেরও ভূমিকা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্ববায়ক এপিএম সুহেল, সদস্য সচিব ইসমাইল সম্রাট প্রমুখ।