বিজেপি সরকারকে মেহনতি মানুষের শত্রু আখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কোনো শর্ত ছাড়া যদি নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন আলোচনায় বসতে রাজি না থাকে তাহলে প্রতিবাদ চলবে বলেও সাফ জানান তারা। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, তার সরকারের আমলেই পূরণ হয়েছে কৃষকদের স্বপ্ন।
ভারতের রাজনীতি এখন কৃষক আন্দোলন নির্ভর হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বলছে, তারা কৃষকবান্ধব। তবে খোদ কৃষকরাই রাস্তায় নেমে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতির ভর্ৎসনা করছেন। তারা বলছেন, এই আইন কৃষকদের জন্য নয়, পুঁজিবাদী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় করা।
রোববার চতুর্থদিনের মতো পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা আর দিল্লির প্রবেশ মুখে জাতীয় মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন কৃষকরা। এসময় তারা সরকারের আলোচনায় বসার প্রস্তাবকে ‘লোক দেখানো’ হিসেবে আখ্যা দেন। কৃষকদের ছোট বড় ৫শ’ সংগঠন এই আন্দোলনে একাট্টা হয়েছে।
একজন বলেন, আমরা প্রয়োজনে পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করবো। সরকার বোকা বানাতে চাচ্ছে। আমরা ৮০ শতাংশ কৃষক, ২০ শতাংশ ক্ষমতাসীনের হাতে জিম্মি হতে পারি না।
আরেকজন বলেন, রাজপথ ছাড়বো না। আমাদের অর্থের উৎস কমিয়ে দিতে এই আইন হয়েছে।
কৃষকদের কথার ঠিক বিপরীত দাবি, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি দাবি করেছেন, নতুন কৃষি আইন কৃষকদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। রেডিওতে দেওয়া এক ভাষণে নরেন্দ্র মোদি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
এর আগে শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাদের রাজপথ ছেড়ে মাঠে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি কৃষকদের সামনে তিনি শর্ত রাখেন, যদি তারা বুরারি মাঠে সরে গেলে ৩ ডিসেম্বরের আগে কৃষক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে সরকার। এমন শর্তে কৃষকরা তাদের আন্দোলন আরো বেগবান করার হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘শর্ত সাপেক্ষে’ আলোচনা নাকোচ করে দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামীতে আসাম, কেরালা, পুদুচেরী, তামিল নাড়ু আর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে এই কৃষক আন্দোলনের প্রভাব পড়বে বেশ জোরালভাবেই।