যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিববার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
তিনি জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিক, উন্নত ও বহুমুখী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু হবে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকসহ প্রায় ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। সেতুর উভয়পাশে প্রায় দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, প্রায় ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট অ্যান্ড এবং লুক ও সাইডিংসহ মোট প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলসেতু নির্মাণ একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন তার প্রয়োজনীতা সবাই উপলব্ধি করেছে। এশিয়ান হাইওয়ে ও রেলওয়ের সঙ্গে যদি আমরা সম্পৃক্ত হতে পারি। তাহলে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। যোগাযোগ হলেই অর্থনীতি সচল হবে। ফলে মানুষের আর্থিক সচ্ছলতাও আসবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি।
সারাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আধুনিক ও উন্নত এবং বহুমুখী করা হবে, যা মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে। সেদিকে নজর রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান সরকারপ্রধান।
বিএনপি রেলকে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশেই রেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় বর্তমান সরকার।
এই সেতুটি নির্মাণে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে সহযোগিতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোর-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। সেতুটির পূর্ব অংশ নির্মাণ করবে ওবায়শি করপোরেশন, টিওএ করপোরেশন এবং জেএফই এবং আইএইচআই এবং এসএমসিসির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হবে পশ্চিম অংশ। সেতু দুই প্রান্তে শূন্য দশমিক ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, শূন্য সাত দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচসহ মোট ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণ করা হবে।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এ রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। ওই বছরই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য চালু করা হবে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন রেলপথমন্ত্রী।