রিয়াদ, বরিশাল: বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সরকারি বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখা এবং বরিশালের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দাবীতে ২৫ জুলাই শনিবার গোলটেবিল বৈঠকের আহবান করেছে বরিশাল ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি।শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কমিটির আহবায়ক ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
গত ১৮ জুলাই গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশটিকে যারা ভিনদেশি করার স্বপ্ন দেখছে তারাই নাম পরিবর্তনের এ চক্রান্ত করছে। এটা বরিশালের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এমন চক্রান্ত রুখতে অচিরেই তিনি গোলটেবিল বৈঠক করছেন।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৩ মে ৪০ হাজার ২৯৫ টাকায় অশ্বীনী কুমারের বাড়ির জমি অধিগ্রহণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন জেলা প্রশাসক অধিগ্রহণ অনুযায়ী ১.৪৭৬ একর জমি বরিশাল নাইট কলেজকে প্রদান করেন। ১৯৮৬ সালে সরকারি বরিশাল কলেজ নামে প্রতিষ্ঠানটি সরকারীকরণ করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর নাসির উদ্দিন বলেছেন, নাম পরির্বতনের প্রস্তাব জেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়ার রহমান কলেজটির নাম পরিবর্তন করে অশ্বীনী কুমার দত্তের নামে নামকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় শিক্ষা বোর্ডকে গত ২৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিষয়টি চলতি মাসে চাউড় হয়ে গেলে নগরীতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে গত ১৫ জুলাই থেকে গণস্বাক্ষর নিচ্ছে কলেজের সাবেক-বর্তমান ছাত্রনেতারা। তাদের দাবির পক্ষে সহমত জানিয়েছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল সহ বরিশালের সকল সচেতন মহল। এছাড়াও গত শনিবার একই দাবিতে নগরীর অশ্বিণী কুমার টাউনহল সম্মূখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
অপরদিকে সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছে নগরীর সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাম সংগঠনের নেতারা। তবে তারা এ দাবি জানিয়ে বেশ বেকায়দায় পরেছে বরিশালে। রাজনৈতিকভাবে তাদের বয়কট করার পক্ষও বেশ জোড়দার হচ্ছে। আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে তাদের এ দাবিকে সাম্প্রদায়িক দাবী বলে উল্লেখ করে খবর প্রকাশ হয়েছে।