চরম উত্তেজনা নিয়ে শুরু হয়েছে মার্কিন নির্বাচন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন-আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউস কার দখলে যাচ্ছে সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।
মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ৯ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়ে দিয়েছেন। যা ২০১৬ সালের নির্বাচনে আগাম ভোট থেকে ৭০ শতাংশ বেশি।
আগাম ভোটের মধ্যে ৬০ লাখেরও মতো এসেছে মেইলের মাধ্যমে। আগেরবারের চেয়ে এবারে মেইলে আসা ভোটের সংখ্যা দ্বিগুণ।
এসব মেইলে মৃত মানুষের ভোটও পেয়েছে নিউইয়র্ক সিটির ইলেকশন বোর্ড। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এ খবর দিয়েছে।
স্ট্যাটেন আইল্যান্ড কাউন্টির ফ্রান্সিস রেকশ নামে এক বাসিন্দার ভোট পেয়েছে ইলেকশন বোর্ড। অথচ রেকশ মারা গিয়েছেন ২০১২ সালে। ১৯১৫ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট বলে জানা গেছে।
৬ অক্টোবর মেইলের মাধ্যমে রেকশ’র ভোট আসে। ৮ অক্টোবর সেই ভোট বৈধ হিসেবে নিবন্ধনও করে ইলেকশন বোর্ড।
একইভাবে আরেকটি ভোট গ্রহণ করেছে নিউইয়র্ক সিটির ইলেকশন বোর্ড। গেরট্রুড নিজারে নামে ওই ভোটার মারা গেছেন ২০১৬ সালে।
ইলেকশন বোর্ডের রেকর্ড অনুসারে, ৯ অক্টোবর ভোট দিয়েছেন গেরট্রুড এবং সেই ভোট বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে ২৫ অক্টোবর।
মৃত মানুষের ভোট দেয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ইলেকশন বোর্ড। তদন্তের জন্য এসব ভোটারের সব তথ্য পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তবে এর আগেও নির্বাচনে মৃত মানুষের নামে ভোট পড়ার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ভোট দেয়ার সময় ভুলবশত আগে পড়ে মৃত ভোটারের ঘরে স্বাক্ষর দিতে গিয়ে এমনটা ঘটে থাকে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করে।