এবার আফগানিস্তান বিষয়ে মুখ খুললেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তৈয়্যব এরদোগানের বিশেষ পরামর্শদাতা, বিদগ্ধ লেখক এবং অধ্যাপক ডক্টর ইয়াসিন ওকতাই। আজ তুরস্কের পত্রিকা ইয়ানী শাফাকে আফগানিস্তান বিষয়ক তাঁর আর্টিকেল
“تركيا لا يمكن أن تكون في موامرة مع احد ضد الشعب الأفغاني”।
তুরস্ক আফগান জনগণের বিরুদ্ধে কারো ষড়যন্ত্রে জড়াবে না” শিরোনামে
আলোচ্য আর্টিকেলে তিনি আফগানিস্তান এবং ইরাকে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে আমেরিকার ন্যাক্করজনক ষড়যন্ত্র এবং আমেরিকার নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ন্যাটো কে ব্যবহার এবং পরিণামে ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে পরাজয় নিয়ে পলায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পর তিনি তুরস্কের আফগানিস্তানে থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
ইয়াসিন ওকতাই বলেন, উভয় পক্ষের সাথে তুরস্ক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়াসিন ওকতাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তুরস্ক আমেরিকার কাছে শর্ত দিয়েছে যে, আফগানী জনগণের মতের বিপরীতে গিয়ে কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব তুরস্ক নেবে না। তুরস্ক এই দায়িত্ব তখন নেবে যখন আমেরিকা ঐ শর্ত মেনে নেবে এবং সকল পক্ষ রাজী হবে। তুরস্ক আরো স্পষ্ট করেছে যে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। এসব বিষয়ে আলোচনা জারী আছে এবং এখনো পর্যন্ত আমেরিকা এবং তুরস্ক সহমতে আসে নাই।
ইয়াসিন ওকতাই ইসলামী ইমারতকে আমেরিকা ভাগানোর একমাত্র কারিগর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে, ইমারতে ইসলামীর লক্ষ্যের সাথে তুরস্কের লক্ষ্যের কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেছেন গতকালের ইমারতের বিবৃতিতে তারা তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে ।
তাঁর লেখাতে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তুরস্ক যে ২০ বছর ধরে তাদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পথ তৈরি করেছে সেটা সম্পর্কে তারা অজ্ঞতা তথা অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তানী জনগণ বা কোনো মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে কারো ষড়যন্ত্রে শরিক হবে না।