তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে আল-জাজিরার ব্যুরো অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে সব কর্মীকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ফোন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্যান্য সকল সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আল-জাজিরার সাংবাদিকেরা বলেন, অন্তত ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ আমাদের কার্যালয়ে প্রবেশ করে।
আল-জাজিরার ব্যুরো প্রধান লতিফ হাজি বলেন, ‘এ ধরনের তল্লাশির কোনো নোটিশ আমাদের আগে দেওয়া হয়নি।’
আল জাজিরার সাংবাদিকেরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। এমনকি তাঁদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আনতেও অফিসে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অভিযানে অংশ নেওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, বিচার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা এ অভিযান চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে সেখান থেকে সব সাংবাদিককে বের করে দিতে বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে করোনা সংক্রামন বেড়ে যাওয়ায় জেরে সৃষ্ট বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ রোববার সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। এ ছাড়া তিনি ৩০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পার্লামেন্ট। দেশটির বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্টের নেওয়া পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল, শীর্ষ ইসলামী দল, আন নাদাহ’র প্রধান রাশিদ ঘানুচিকে পার্লামেন্টে ঢুকতে বাধা দেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দলটি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। পার্লামেন্টের স্পিকার বেলা তিনটার দিকে পার্লামেন্টে যেতে বাধার মুখে পড়েন।
তবে প্রেসিডেন্ট সাইদের শত শত সমর্থক পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হয়ে আন নাদাহর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই দলের সদস্যদের পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ও বোতল-ছোড়াছুড়ি হয়।