আবাসিক হল না খোলার শর্ত জুড়ে দিয়ে সশরীরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল ও বার্ষিকসহ সব পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও’ আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পরীক্ষা নিতে হবে। আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটা সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেছে এটা আমাদের সফলতা। তবে হল না খোলার সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হল না খুললে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়বে। মেসে থেকে পরীক্ষা দেওয়ার সামর্থ সব শিক্ষার্থীর নেই। আমাদের হল খোলার যে দাবি, সে দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আপাতত কোনোভাবেই হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে টিকা না দিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে তোলা যাবে না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি, সরকারও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আশা করি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই টিকা পাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আবাসিক হল না খোলা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সশরীরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের যেসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল তাদের পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।