প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের সকল অর্জনের বাতিঘর। দেশকে এগিয়ে নিতে মানসম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘Celebrating the 100 Years of the University of Dhaka: Reflections from the Alumni— International and National’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। তিনি সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনসহ সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা আন্দোলনের সূতিকাগার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আমরা মাথা নত করার জাতি নই। আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে। আত্মবিশ্বাসী, আত্মমর্যাদাশীল ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।