জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার শামিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ডাক দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রথম সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতার পরে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বোচ্চ খেতাব ‘বীর উত্তম’ পেয়েছেন। এখন ৫০ বছর পরে যদি সরকার সেটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়, তা হবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপরে চরম অবমাননা।’
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা এখনও বিষয়টি জানি না। তবে সরকার যদি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা হবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপরে চরম অবমাননা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত খারাপ নজির হবে । এ ধরণের সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ মেনে নেবেন না। জনগণের কাছে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এবং শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই থাকবেন। তারা যতই খেতাব মুছে দিতে চেষ্টা করুক, জনগণের মন থেকে কখনও জিয়াকে মুছে দেওয়া সম্ভব হবে না।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ প্রদান করে। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।