ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম বলেন, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আজ ২১ জুলাই ২০২০ইং রোজ মঙ্গলবার সন্ধায় এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পণ্য সরবরাহের উছিলায় ভারত বাংলাদেশের প্রধান দুই সামুদ্রিক বন্দরের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের সুদুরপ্রসারী পাঁয়তারা করছে। ২০১৮ সালে সম্পাদিত একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর “অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে” ব্যবহার করে ভারতের আসাম ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের চরম স্বার্থবিরোধী। একইসাথে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দূরভিসন্ধি। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিকভাবে লাভবান তো নয়ই; বরং ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশী পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে জটে পড়বে এবং সড়ক ব্যবস্থায় অসহনীয় যানজট তৈরি হবে। যা দেশের অর্থনীতিকে নিশ্চিত হুমকির মুখে ফেলবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪১ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলেছিল। কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা সেই বাঁধ আজ ৪৫ বছরেও বন্ধ হয়নি। যার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা স্থায়ীভাবে হ্রাস পায়। একইসাথে গ্রীষ্মে স্থায়ীভাবে মরুকরণ ও বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভাসিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলীনের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চুক্তিসহ বাংলাদেশ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।