ঘুষ লেনদেনে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে ভারত। প্রায় ৩৯ শতাংশ লোক ‘সরকারি সেবা’ পাওয়ার জন্য দেশটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঘুষ দিয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে পুলিশ ও আদালত।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে সরকারি হাসপাতালের সিট। ‘টেবিলের নিচে’ মুহূর্তে একহাত থেকে আরেক হাতে চলে যাওয়া নোটের কল্যাণে চাইলেই মিলছে সব। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে ভারতের এমন চিত্রই উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনের হিসাবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেয়া হয় ভারতে। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া।
তবে গেল কয়েক বছরের তুলনায় এই সূচকে উন্নতি হয়েছে ভারতের। ২০১৯ সালে ঘুষ প্রদানে দেশটির শতকরা হার ছিল ৫১ শতাংশ। ২০১৮ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৪৫ শতাংশ
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এশিয়ার ১৭টি দেশের ২০ হাজার মানুষকে নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়ে এ চিত্র পেয়েছে সংস্থাটি। ভারতের ৩৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে। এটি এশিয়ার সর্বোচ্চ ঘুষের হার। এই হার নেপালে ১২ শতাংশ, বাংলাদেশে ২৪ শতাংশ, চীনে ২৮ শতাংশ এবং জাপানে ২ শতাংশ ছিল।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ভারতের ৪৬ শতাংশ মানুষ কোনো সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য উপর মহলে যোগাযোগ করেন। এদের মধ্যে ৩২ শতাংশ মনে করেন উঁচু জায়গায় যোগাযোগ না করলে তারা পরিষেবা পেতেন না।
জরিপটিতে ভারতের পরেই ঘুষ লেনদেনের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া এবং চীন। যেখানে ইন্দোনেশিয়ায় ঘুষ প্রদানের হার ৩৬ শতাংশ ও চীনে ৩২ শতাংশ।
জরিপটির দাবি, ভারতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ নেন পুলিশ। শতকরা হিসেবে যা ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে স্বজনপ্রীতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় আদালতে।