গ্রামেরর নাম ‘চোরের ভিটা’ থাকায় নানা রকম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় এলাকাবাসীর। এমনকি কাউকে নিজ গ্রামের নাম বলতে লজ্জা পান অনেকে। এছাড়া এই গ্রামেই রয়েছে ‘চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। স্কুলের এই নামটি নিয়েও বিভিন্ন সময়ে নানা হাস্যরসের ঘটনা ঘটে থাকে।
গ্রামের নাম পরিবর্তন চেয়ে ইতোমধ্যে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) এই আবেদন করেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মাদ মাহবুবুর তালুকদার।
তিনি বলেন, পূর্বধলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের চোরের ভিটা গ্রামের নামকরণ করা হয় ১৯৬২ সালে। ওই সময়ের জরিপের সময় জমিদারের খাজনার বই হারিয়ে গেলে জমিদার ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের নাম দেন চোরের ভিটা। ১৯৯১ সালে গ্রামের নামের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। আমি নিজেও ওই স্কুলের ছাত্র। কিন্তু বিভিন্ন অফিস আদালতে গেলে, চাকরির আবেদন করলে তা নিয়ে মানুষ হাস্যরসের সৃষ্টি করে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাই নামটি বদলের জন্য মানববন্ধন করেছি। জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছি। নামটি পরিবর্তন চাই আমরা। পরিবর্তন করে বিজয়নগর করার জন্য দাবি জানাই।
মানববন্ধনে বক্তারা নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ‘চোরের ভিটা’ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে বিজয়নগর রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমান বলেন, নাম পরিবর্তনের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে একটি আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।