বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক হতে যাচ্ছে আগামীকাল। এর ওপর নির্ভর করছে বেফাক কমিটি। এ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম আলাপ-আলোচনা চলছে কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। বেফাকের সভাপতি হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ি বড় মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেব এবং জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব-এ দুজনের নাম সবার মুখে।
তবে বেফাকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত কেউ দায়িত্বে আসতে পারবেন না। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর একাংশের মহাসচিব হওয়ায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলয় মুক্ত আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেবের নাম এখন সবার মুখে। তবে প্রথমত যারা আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেবের ব্যাপারে পজিটিভ প্রচারণা করছিলেন তাদের কারও কারও মুখে এখন ময়মনসিংহের আব্দুর রহমান হাফেজ্জীর নাম শোনা যায়। ওলামা বাজারের আল্লামা নুরুল ইসলাম আদিব সাহেবের নামও শোনা যাচ্ছে সভাপতি হিসেবে। তবে সিদ্ধান্ত আসবে আগামীকাল বেফাকের বৈঠক থেকে।
ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক থেকে বোঝা যায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি গঠিত না হলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা হতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করছেন বিশ্লেষকরা। একাধিক কওমিয়ান বিশ্লেষক মনে করেন, কওমি অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে ওলামা-ত্বলাবাগন খুবই বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি পরখ করছেন। এবং যে কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক তাদের মন্তব্য পাবলিকলি ফেসবুকে ব্যক্ত করছেন। যা তাদের স্বপক্ষীয় সমর্থকদের সতর্ক অবস্থান নিতে সহযোগিতা করে। সুতরাং এমতাবস্থায় গঠনতন্ত্রের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত হলে কওমি অঙ্গনে আবারো চেপে রাখা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আসুক, এমনটিই প্রত্যাশা করছেন সচেতন কওমিয়ানরা।
উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্রের ধারা লঙ্ঘন করায় ইতোপূর্বে বেফাকে বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা ঘটে। যা কওমি অঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।