বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | সকাল ৭:৫৮

বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | সকাল ৭:৫৮

কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসে

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:১৯ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:০৬ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

করোনা-পরবর্তী বিপর্যস্ত বিশ্ব সামনের দিনগুলোতে কেমন অবস্থা পরিগ্রহ করবে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপর তা অনেকখানি নির্ভর করবে। এ কথা বললে হয়তো একেবারে ভিত্তিহীন কিংবা অত্যুক্তি হবে না। কারণ অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি। আন্তর্জাতিকভাবে রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতি ও বিভিন্ন বিশ্বব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর যে বেশ খানিকটা নির্ভর করে, তা বলাই বাহুল্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তাই এখন একটি বৈশ্বিক নির্বাচন হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শাসনক্ষমতায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে মানুষটি অধিষ্ঠিত হবেন, আন্তর্জাতিকভাবে তিনি যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারেন। আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যাপী তাই এত জল্পনা-কল্পনা। তাতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধান, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি গণমাধ্যম নীরব থাকবে, তা তো হতে পারে না। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থাৎ ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্বব্যবস্থা, বাণিজ্য এবং পারমাণবিক ও পরিবেশগত বোঝাপড়া কিংবা অগ্রগতি তছনছ করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি রিপাবলিকানদলীয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হলে শেষ পর্যন্ত পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে এখন অনেক ভাবনা-চিন্তা চলছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচিত হলে বিশ্বব্যাপী কোন কোন ক্ষেত্রে কার কতটা লাভ-ক্ষতি হবে তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের নেতারা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত প্রভাবশালী মহল যথেষ্ট উদগ্রীব হয়ে উঠেছে।

রাজনীতি ও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ সাবেক সিনেটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাণিজ্যিক, সামরিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিগত চার বছরের অবদান কিংবা অর্জন নিয়ে বেশি সমালোচনা কিংবা আক্রমণ করছেন না। দেশীয় অর্থাৎ জাতীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মোকাবেলায় ট্রাম্পের চরম ব্যর্থতা, যাতে এরই মধ্যে সোয়া দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ’ অথবা উগ্র জাতীয়তাবাদী বিষবাষ্প ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভক্ত করার অভিযোগও এনেছেন বাইডেন। এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবারের সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কগুলোতে জো বাইডেন বর্ণবাদ, করোনার কারণে সৃষ্ট বেকারত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থার মতো ইস্যুগুলোকে মুখ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন। নির্বাচন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে, তাই জাতীয় ইস্যুগুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বাইডেন। তাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতামত হচ্ছে, যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, তাঁর উচিত হবে বর্ণবাদ ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক অনাচার ও বৈষম্য থেকে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে রক্ষা এবং দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিলে গতকাল অনুষ্ঠিত প্রার্থীদের সর্বশেষ বিতর্কের আগেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বিভিন্ন জনমত জরিপে জাতীয় পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ১১ শতাংশ এগিয়ে ছিলেন। এসব জরিপ থেকে দেখা গেছে, বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা ৮৩.৫ থেকে প্রায় ৮৭ শতাংশ। এখন নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ডেমোক্র্যাটরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। সে কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারিত ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ’-এর ধারণা কতটুকু কাজে লাগবে তা বলা মুশকিল। এবার অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে ডাকযোগে আগাম ভোট দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাতে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগেই প্রায় তিন কোটি ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, জর্জিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও  পেনসিলভানিয়া, যেখানে ট্রাম্প ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আশাতীতভাবে ভালো করেছিলেন, এবার সেখানে সে সমর্থন দৃশ্যত নেই।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, দেশের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সমর্থক তাঁকে ভোটদানের ব্যাপারে অনড়। তাদের প্রায় সবই দেশব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শ্বেতাঙ্গ নিম্নমধ্যবিত্ত ও সাধারণ শ্রেণির মানুষ। তা ছাড়া ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ’ বলতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে মনস্থির করা যেসব ভোটারের কথা বোঝাচ্ছেন, তাঁদের ভোট ট্রাম্পের বাক্সে না-ও পড়তে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তাঁর শেষ মুহূর্তে বিজয়ের কথা বারবার উল্লেখ করেন। কিন্তু সে নির্বাচনেও হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পের চেয়ে সাধারণ মানুষের ২০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। হিলারি হেরেছেন ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮টি ভোটের মধ্যে ২৭০টি নির্ধারিত ভোট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায়। সেই ব্যর্থতার কারণ আজও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস করেও যুক্তরাষ্ট্রে একজন প্রার্থী ক্ষমতার মুখ না-ও দেখতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনব্যবস্থা ক্ষেত্রবিশেষে বেশ কিছুটা বিভ্রান্তিকর, সেটা নিয়ে তাদের রাজনৈতিক মহলে এখনো যথেষ্ট আলোচনা চলছে। ২০১৬ সালে নির্বাচিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প চেয়েছিলেন চীন, জাপান, উত্তর কোরিয়া ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের চেয়েও অধিক শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট হতে। গণতান্ত্রিক কিংবা মানবাধিকারের প্রশ্ন তাঁর কাছে মুখ্য নয়। তিনি চেয়েছিলেন, বিশ্বের প্রধান পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট হতে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বহির্বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছিলেন; কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব কিংবা মহামারি সেসব প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি তাঁর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোনো যুদ্ধ করেননি। বরং মধ্যপ্রাচ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

করোনাকালীন অবস্থায়ও নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বলেছেন, বহির্বিশ্বে তিনি শুধু সশস্ত্র যুদ্ধ থেকেই বিরত থাকেননি, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করেছিলেন। তা ছাড়া আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে তালেবানের রাজনৈতিক আলোচনার সূত্রপাত করতে তিনি সহযোগিতা করেছেন। সিরিয়া থেকে সরে যাওয়া এবং ইরানের অস্ত্র কেনার ওপর অবরোধের মেয়াদ শেষে তিনি নতুনভাবে অবরোধ সৃষ্টির উদ্যোগ নেননি। ট্রাম্প ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যে এবং বিশ্বের অন্যান্য বহু রাষ্ট্রে অস্ত্র বিক্রি করেছেন; কিন্তু নিজে অস্ত্র বিক্রেতাদের সঙ্গে হাত মেলাননি অথবা উদারনৈতিক পুঁজিবাদের প্রতিভূদের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হননি নীতিগতভাবে। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করেছেন তাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা ছাড়াই। বাইডেনের ঘোষিত নির্বাচনী কার্যতালিকায় চীনকে সামরিকভাবে মোকাবেলার কথা নেই। তবে বাইডেন চীন, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন কূটনীতির সূচনা করতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি কিংবা ট্রাম্পের মুনাফাভিত্তিক বহির্বাণিজ্যের ব্যাপারে যতটা না আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড উত্খাত করে জনগণের জন্য একটি সেবামূলক উত্তম স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে, দেশব্যাপী উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে। এ ছাড়া সার্থকভাবে করোনা মোকাবেলা এবারের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন বলে সাধারণ মানুষের একটি বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে, যা তাঁর হোয়াইট হাউসে অবস্থানের সম্ভাবনাকে অনেকখানি দুর্বল করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখন বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কিংবা মুনাফাভিত্তিক বাণিজ্যের সাফল্যের চেয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে অত্যধিক আগ্রহী। তাই তারা ক্রমেই গণতান্ত্রিক মূলধারার রাজনীতিক ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেনের দিকে ঝুঁকছে।

কেউ কেউ বলেন, জো বাইডেনের পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ বেশি উপকৃত হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে। বাংলাদেশ তাত্ক্ষণিক জিএসপি না পেলেও একটি জুতসই ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টে পৌঁছাতে পারবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভাবনা-চিন্তার সঙ্গে একমত। কিন্তু ফলকথা হচ্ছে, জো বাইডেন নির্বাচিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি রাতারাতি পরিবর্তনের বিশেষ সম্ভাবনা নেই। তবে বাইডেন নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সব বিরাজিত অনিয়ম দূর করে তাকে একটি শক্তিশালী মন্ত্রণালয় হিসেবে পুনর্গঠন করবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাণিজ্যব্যবস্থায় আনবেন একটি বৈশ্বিক সমন্বয়। নোয়াম চমস্কির ভাষায়, নব্য উদারনৈতিক ধনতন্ত্রের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করবেন জো বাইডেন, যা তাঁর ঘোষিত কর্মসূচিতে স্থান করে নিয়েছে। করোনার কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে জো বাইডেন যে একটি নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নিরূপণ করবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জো বাইডেন যুদ্ধবাজ হিসেবে কখনো পরিচিতি লাভ করেননি। তিনি একজন গণতন্ত্রমনা ও শান্তিবাদী হিসেবে পরিচিত।

এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের অনেকেই তাঁর সঙ্গে নেই। এ ছাড়া রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের সৃষ্ট ‘লিংকন ব্লক’ জো বাইডেনকে সমর্থন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এখন ‘ব্যাটল গ্রাউন্ড’ অনেকটাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কগুলোয় গুছিয়ে কথা বলতে পারেননি ট্রাম্প। বাইডেনের সমন্বিত ও পরিশীলিত বক্তব্যের কাছে ট্রাম্পকে মনে হয়েছে রাজনৈতিক প্রথাবহির্ভূত একজন গোঁয়ার ও বাচাল মানুষ, যাঁর ভাষা, বক্তব্যের বিষয়বস্তু এবং আচরণে দক্ষ প্রেসিডেন্ট-সুলভ কোনো ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ ফুটে ওঠেনি। তবু ট্রাম্প ও তাঁর কট্টর রক্ষণশীল শিবির ২০১৬ সালের মতো শেষ মুহূর্তের ম্যাজিকের কথাই বলে যাচ্ছেন। তবে নির্বাচনী ম্যাজিকের চেয়ে করোনা-পরবর্তী বিপর্যস্ত বিশ্বে এখন বাস্তবভিত্তিক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে প্রকটভাবে। সে নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্র ও বহু সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশসহ বিভিন্ন অচলায়তন থেকে বের করে আনতে সক্ষম হোক, সেটিই যুক্তরাষ্ট্রসহ শান্তিকামী বিশ্ববাসীর একমাত্র প্রার্থনা।

লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত সাবেক মিনিস্টার

gaziulkhan@gmail.com

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এক খুনিকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না: অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল

এম শাহরিয়ার তাজ,খুলনা প্রতিনিধি: এক লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও খুনি-ডাকাতকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। আমরা ঐক্য চাই কিন্তু এই ঐক্যের মাধ্যমে কোনো বাতেল প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চাই না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার,দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে

সৌদি আরবে দেশসেরা গবেষক নির্বাচিত হলেন সৈয়দ মাদানির বড় ছেলে ড. মাবরুক বিল্লাহ

সৌদি আরবের সেরা গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ, ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই পীর পরিবারের সন্তান ড. সৈয়দ

২বছরে হিফজ সম্পন্ন করায় হাফেজা রুহিয়া জান্নাত কে সংবর্ধনা দিলো উলুমুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা

এম শাহরিয়ার তাজ,খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় উলুমুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা এর হিফজুল কুরআন বালিকা শাখার ছাত্রী

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:১৯ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:০৬ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২০ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ