জাহিদুল আলম।
বারবার অভিযানেও বন্ধ হচ্ছেনা।কামরাঙ্গীরচরের অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা ব্যবসা।
গেল কয়েক বছরে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেও কোনো লাভ হয়নি। তিতাস গ্যাসের অসাধু কিছু ঠিকাদার এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি মহল টাকার বিনিময়ে যেমন বিচ্ছিন্ন সংযোগে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করছে, তেমনি দিচ্ছে নতুন সংযোগও। পাশাপাশি ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে কথিত গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে আদায় করা হচ্ছে বিলও। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি বৈধ গ্রাহকরা ভুগছেন গ্যাস সংকটে। সরেজমিনে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সোবাহানবাগ তিতাস গ্যাস অফিসের ঠিকাদার ভুট্ট ও তার ভাগনা জুয়েল,কামরাঙ্গীরচরের ঝাউলাহাটি, হাসান নগর এলাকায় বেশ কিছু বাসা বাড়িতে অবৈধ গ্যাস লাইনের সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে বিলের টাকা আদায় করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কামরাঙ্গীরচরের সর্বত্র বৈধ সংযোগ থেকে প্রায় তিন গুনের বেশি গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে।সাংবাদিক পাওয়ার সেল টিম অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভুট্ট ও তার ভাগনা জুয়েলের আরও অনেক অজানা গোপন তথ্য । দুই মামা, ভাগনা মিলে বাসাবাড়ি সহ খানাডুলির কারখানা গুলোতেও আবাসিকের জন্য গ্যাস লাইন নিয়ে বানিজ্যিকভাবে চালিয়ে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।শুধু তাই নয় নতুন নতুন নির্মান হওয়া এপ্যার্টমেন্ট গুলোতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এমনি একটি সত্যতার প্রমান মেলে ঝাউলাহটির একটি এ্যাপার্টামেন্টের অনুসদ্ধানে। ১৩/১ হাজির ঘাটে সদ্য গড়ে উঠা ১০ তলা একটি এ্যাপার্টমেন্টে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে সংযোগ দিয়েছে গ্যাসের লাইন। যার প্রতিটা ফ্লোরে রয়েছে ৪টি করে ফ্ল্যাট। অনুসন্ধানে যানা যায় মোট ৪০টি চুলা চলছে। এলাকাবাসীর একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, থানা ও এলাকার নেতাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে এই লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয় ভুট্টকে কল দিয়ে কথা বলতে চেলে তিনি বলেন আমার ভাগনা জুয়েলের সাথে কথা বলেন সেই সবকিছু ম্যানেজ করে। পরে জুয়েলকে কল দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন থানা আর নেতারা যখন হাতে আছে তখন কিসের ভয় সবাইরে ম্যানেজ কইরাই সংযোগ দিছি।