করোনা কালীন সময়ে মেস ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। নানানভাবে মেস মালিকদের বুঝিয়েও কোনো কাজ হচ্ছেনা তাদের। গত মার্চ মাস থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের টিউশন ও বিকল্প আয়ের পথ বন্ধ থাকায় ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কিছু কিছু বাড়িওয়ালা কিছুটা নমনীয় হলেও বেশিরভাগই অনড়। সর্বশেষ আমরা দেখলাম- গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এসেছে ৩৫ হাজার টাকার জন্য ৮ জন শিক্ষার্থীর সনদপত্র ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন ধানমন্ডি এলাকার এক মেস মালিক। এছাড়া পূর্ব রাজাবাজার এলাকার একটি মেসে প্রায় ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে মেসের কেয়ার টেকার।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা পরেছে উভয় সংকটে। না পারছে পরিবার থেকে টাকা নিয়ে মেস ভাড়া পরিশোধ করতে আর না পারছে মেস ছেড়ে দিতে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীরা মেস ভাড়া মওকুফ এবং আপাতত স্থগিত রাখার জন্য ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধন-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কোনো কাজ হচ্ছেনা বলে দাবী তাদের।
শিক্ষার্থীদের এহেন অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে সরকারকে ভাবতে হবে। এখানে একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যে, বাসা মালিকদের সরকারিভাবে ভাড়া মওকুফের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে হয়তো তারা মওকুফ করবে। কিন্তু অনেক পরিবার আছে তাদের বাসা ভাড়ার টাকা দিয়েই পরিবার চালাতে হয়। তারা পরবে চরম সংকটে। এজন্য প্রথমে ক্যাটাগড়ি ভাগ করে যারা অন্যভাবে পারিবারিক ব্যায়ভার বহন করতে পারে তাদের মেস ভাড়া মওকুফের নির্দেশনা জারি হতে পারে। আরা যারা বাসা ভাড়ার ওপরই নির্ভরশীল তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।