করাচি একদিন ভারতের অংশ হবে৷ এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ৷ আর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিকও৷ তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি যদি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে মিলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় তাহলে তাকে স্বাগত জানাবে এনসিপি৷
সম্প্রতি ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে শিব সেনা নেতা নিতিন নান্দোকার মুম্বাইয়ের দোকান মালিককে করাচি সুইটস নাম বদলাতে বলছেন। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘(আঞ্চলিক ভাষা) মারাঠিতে কিছু রাখুন।’ এনিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দলীয় নেতার ওই বক্তব্যের বিষয়ে শিব সেনার আরেক সিনিয়র নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, এটা দলীয় কোনও অবস্থান নয়।
ওই বিতর্কের বিষয়ে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফাড়নবিশের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা সেই মানুষ যারা অখণ্ড ভারতে বিশ্বাস রাখি… আমাদের বিশ্বাস (পাকিস্তানি শহর) করাচিও একদিন ভারতের হবে।’বিজেপি নেতার ওই মন্তব্যের পালে হাওয়া দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নওয়াব মালিক। তিনি বলেন, ‘দেবেন্দ্র সাহেব যেভাবে বলেছেন তাতে মনে হয়েছে আগামী দিনে করাচি ভারতের হয়ে যাবে… আমরা দেখতে পাবো ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ একীভূত হয়ে যাবে। বার্লিন দেয়ালের যদি পতন হতে পারে তাহলে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ কেন একত্রিত হতে পারবে না? বিজেপি’র ইচ্ছা যদি হয় এই তিন দেশকে একত্রিত করা এবং একটি দেশ বানানো তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবেই তাকে স্বাগত জানাবো।’
অবশ্য শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত ফাড়নবিশের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, ‘করাচি যদি ভারতের হয় তাহলে আমরা স্বাগত জানাবো। তবে প্রথমে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের অংশটিকে ফিরিয়ে আনুক। পরে না হয় করাচির দিকে যাওয়া যাবে।’
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোকান নিয়ে নিতিন নান্দোকারের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা চলছে। প্রায় এক মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে করাচি সুইটসের মালিককে শিব সেনা বলছেন, ‘আমি করাচি নামটি ঘৃণা করি। পাকিস্তানের শহরটি সন্ত্রাসীদের আস্তানা। আপনি আপনার পূর্বসূরিদের নাম রাখতে পারেন… তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আপনি পাকিস্তান থেকে আসতে পারেন কিন্তু এটা আপনার বাড়ি। এটা করাই লাগবে (নাম বদল)। ব্যবসা করতে আমরা সহায়তা দেবো। সময় দিচ্ছি… নাম বদলে মারাঠিতে কিছু রাখুন।’
পরে এক টুইট বার্তায় শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘করাচি বেকারি ও করাচি সুইটস গত ৬০ বছর ধরে মুম্বাইয়ে আছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন তাদের নাম বদলাতে বলার কোনও মানে হয় না। তাদের নাম বদলানোর দাবি করা শিব সেনা দলীয় অবস্থান নয়।’