আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস। দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ই রমজান ঐতিহাসিক বদর উপত্যকায় ইসলামের ইতিহাসে প্রথম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। এ দিনটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। এ দিন বারবার ফিরে এসে মুসলিম উম্মাহকে স্বীয় গৌরবোজ্জ্বল অতীত স্মরণ করিয়ে দেয়।
আজ ১৭ই রমজান ১৪৪২ হিজরী (৩০ এপ্রিল’২১ইং) শুক্রবার বিকাল ৩টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ইসলামের বিজয়ের প্রথম দৃষ্টান্ত। বিজয়ের ধারাবাহিকতায় মুসলিম উম্মাহ গোটা বিশ্বকেও বিজয় করেছিলো একদিন। তাই আজও সকল তাগুতী মতাদর্শের মূলোৎপাটন করে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে মুসলিম উম্মাহকে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ইসলামী সমাজ তথা আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে।
নূরুল করীম আকরাম বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় পৃথিবী আজ বিপর্যস্ত। মানবতা মুখ থুবড়ে পরেছে। বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে আজ অশান্তি বিরাজ করছে। এর প্রকৃত কারণ হলো নেতৃত্বে ইসলামের অনুপস্থিতি।
যতদিন খিলাফতের আলো পৃথিবীতে ছিল, ততদিন শান্তির সুবাতাস বহমান ছিল। সুতরাং অশান্তিঘেরা এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে এবং মানবতার মুক্তির জন্য ইসলাম ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
তিনি আরো বলেন, ইসলামের বিজয় অনিবার্য। যদি উম্মাহ আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে এগিয়ে যায় তবে আল্লাহ তা’য়ালা নুসরত দানের অঙ্গীকার করেছেন। যা বদরে সহস্র সশস্ত্র যোদ্ধার বিপরীতে ৩১৩ জন সাহাবীর বিজয় এবং ইসলামের ইতিহাসের আরো অসংখ্য বিজয় থেকেই বোঝা যায়।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন, বিকৃত মানসিকতার ক্ষমতালোভী রাজনীতিসহ সামাজিক সকল অসঙ্গতি থেকে জাতিকে পরিত্রাণ দেয়া এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং বদরের চেতনায় ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার এ অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও সর্বসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইবসহ কেন্দ্রীয় আমেলার দায়িত্বশীলবৃন্দ।