শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | দুপুর ১২:৩৫

শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫ হিজরি | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | দুপুর ১২:৩৫

আল্লামা মোস্তফা আল হোসাইনী ছিলেন সীরাতে রাসূল সা.এর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:১৫ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

আল্লামা মোস্তফা আল হোসাইনী রহ. এদেশের ইসলামী অঙ্গনে একটি সুপরিচিত নাম। গত শতকের ৯০-এর দশক থেকে নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর সাথে থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর অগ্রযাত্রায় অসমান্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি একই সাথে বহুমুখী যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন। একাধারে একজন মুফাসসিরে কুরআন, শাইখুল হাদিস, সুমিষ্টভাষী দাঈ ও ওয়ায়েজ, মুহাক্কিক আলেম, লেখক এবং একজন বিচক্ষণ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ ছিলেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন সীরাতে রাসূল সা. এর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

আজ ০৫ জুলাই’২১ সোমবার বিকাল ৫.৩০ টায় পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর উদ্যোগে আয়োজিত “আল্লামা মোস্তফা আল হোসাইনী রহ. এর জীবন-কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল” এ কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম উপরোক্ত কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, আল্লামা হোসাইনী রহ. ছিলেন একজন সুমিষ্ট ভাষী ওয়ায়েজ। পাকিস্তানের বিশ্ববিখ্যাত দাঈ, আওলাদে রাসুল সা. সৈয়দ আব্দুল মজিদ নদীম রহ. এর বয়ানের বঙ্গানুবাদ করেছেন দীর্ঘ দুই দশকের কাছাকাছি সময়। তাঁর বয়ানে সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা থাকতো, ইতিহাস ছিলো তাঁর বয়ানের অন্যতম সৌন্দর্য, বিশেষত তাঁর বয়ানে সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত ঘটনা স্থান পেতো অনেক বেশি, বিভিন্ন বাতিল ফেরকার দাঁতভাঙ্গা জবাব তিনি দিতেন দালিলিক আলোচনার মাধ্যমে। কোরআনের তাফসির করতেন খুবই সাবলীল ভাষায়। সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে তিনি উপস্থাপন করতেন। তিনি বাংলাদেশে বয়ানের ময়দানে ভূমিকা রাখা আলেমদের মধ্যে প্রথম সারির একজন।

কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আল্লামা মোস্তফা আল হোসাইনী রহ. একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সূচনাকাল থেকে তিনি সামনের সারি থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। দেওয়ানবাগী বিরোধী আন্দোলন, ফতোয়া বিরোধী আন্দোলন ও স্বঘোষিত নাস্তিক তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনসহ দেশ, জাতি ও মানবতার পক্ষের সকল আন্দোলন সংগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই র. এর সাথে থেকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।

তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পুরো অংশ কেটেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (পরবর্তী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)-এর সাথে। তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর সমন্বয়কারী ছিলেন। পরবর্তীতে নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন। বার্ধক্যে উপনিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। রাজনৈতিক মঞ্চে তার বক্তব্য শ্রোতাদেরকে দারুণ আকর্ষণ করতো। তিনি ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মঞ্চে কঠোর বক্তব্য দিতেন। ইসলামী রাজনীতির বিভিন্ন দিক তিনি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতেন। তিনি স্বল্প কথায় অনেক কিছু বুঝাতে পারতেন।

ইশা ছাত্র আন্দোলন এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলবৃন্দ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

এইচ এম মাহমুদ হাসান-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশবিরোধী সকল আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির গোলামির জন্য নয়; মাথা উঁচু করে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাতেই আজ স্বাধীনতা ও দেশ বিপন্ন।

দিল্লির গোলামীর জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেনি-ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:১৫ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৯:২৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ