রাসূলুল্লাহ সা. অবমাননার প্রতিবাদে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ। মহানবীকে নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর বিতর্কিত মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্যারিসের বিরুদ্ধে সরব হয় দেশটির নাগরিকরা।
মঙ্গলবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদলুতে শিরোনাম করা হয়, ফ্রান্স বয়কটের আন্দোলন বাংলাদেশে গতি পেয়েছে। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ শিরোনাম করেছে, বিশ্বনবীর ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শিরোনাম করেছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বাংলাদেশে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে।
ইরানভিত্তিক পত্রিকা পার্স টুডে লিখেছে ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদ, ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা।
তুর্কির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের দিকে সংরক্ষিত রেজিস্টারে কড়া মন্তব্য জানাতে যাত্রা শুরু করে। এ সময় সবাইকে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।
ফ্রান্সের সুগন্ধি ও কসমেটিকসের বড় একটি বাজার বাংলাদেশ। এর আগে বক্তারা রোববার ঢাকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ঢাকায় আন্দোলনকারীরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রোর প্রতিকৃতি তৈরি করে তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ফ্রান্স২৪ বলছে, পুলিশের ধারণা ৪০ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস অভিমুখে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটকায়। কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই অনন্ত ১০০ পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থেকে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামায়।
ম্যাঁক্রোর এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরই তুরস্ক এবং পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা দরকার। এরদোয়ানের এই বক্তব্যের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এবং মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে এটি আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ (বায়তুল মুকাররম) থেকে এটি শুরু হয়।