দূর্গা পাল নড়াইল জেলার সদর থানার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ৬ বোনের মধ্যে সবার ছোট। বড় ৪ বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বাবাও নেই। বাড়িতে এখন দূর্গা, প্রতিবন্ধী দিদি ও মায়ের বসবাস। কোনমতে টেনেটুনে চলে সংসার। পেটের ক্ষিদে মিটাতে যেখানে দায়, সেখানে বড় স্বপ্ন দেখা তো মহা অন্যায়। তারপরও দমে যাননি দূর্গা পাল। অবশেষে পরিশ্রম আর মেধার মূল্যায়ন পেয়ে হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে ৬৪১ তম। বিত্তহীন ইয়াতীম দূর্গার আনন্দ যেন আর বাঁধ মানে না।
কিন্তু সে খুশি খুব বেশি স্থায়ী হল না। সহসাই সেখানে জন্ম নিল শঙ্কা ও দুশ্চিন্তা। ভর্তির জন্য টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা একসাথে হয়ত এখনো দেখেওনি সে। তাই ঢাবিতে চান্স পেয়েও ভবিষ্যতের আয়নায় শুধু অন্ধকারই দেখছিল দূর্গা পাল। এখানে, সেখানে ঘুরেও পেলেন না কোন আশ্বাস। এর মধ্যে এই সংবাদ শিক্ষণের কাছে গিয়ে পৌঁছে। তৎক্ষণাৎ তার সাথে যোগাযোগ করে ভর্তির বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয় শিক্ষণ।
শিক্ষণের কল পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দূর্গা পাল। বলেন- “কল্পনাও করিনি এভাবে কল করবে কেউ। নানাজনের কাছে বলে এক প্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।” শিক্ষণ সক্ষমতা অনুযায়ী সবসময় তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। এভাবে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের হেল্প করে থাকে শিক্ষণ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও শিশু এবং বিত্তহীন মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে সর্বদাই এভাবে থাকতে চাই আমরা।
প্রেরক-
রাবেয়া আক্তার অন্তরা।
সমন্বয়ক, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ,
শিক্ষণ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ফোরাম।