কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে-কে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির শেষ ব্যক্তিটিকেও দমন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে এরদোগান এ কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, “তুরস্কের পরিচালিত দক্ষিণ সীমান্তের অভিযানে সন্ত্রাসী সংগঠনটির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন “আমাদের সীমান্তে বেসামরিক বসতিতে মর্টার হামলা চালিয়ে নিরপরাধদের রক্ত ঝরানোর মাধ্যমে তারা (পিকেকে) তাদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ করেছে।”
এরদোগান বলেন,”আমরা আবারো আমাদের প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করছি যে, কারকামিসের গাজিয়েন্টেপ জেলায় ৫ বছর বয়সী শিশু ও ২২ বছর বয়সী শিক্ষকের হত্যাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির শেষ সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এরদোগান আরো বলেন,”মাতৃভূমি ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের কারো কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা কারো কাছে দায়বদ্ধ নই।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অন্তঃসারশূন্য হুমকির মাধ্যমে তুরস্ককে কেউ তার নিজস্ব স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করতে পারবে না।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তুরস্ক পরিচালিত সামরিক অভিযান নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।
এরদোগান বলেন,”আমরা তাদের ভন্ডামি বরদাস্ত করব না, যারা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন করে।”
সম্প্রতি ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে-এর বিরুদ্ধে ক্ল-সোর্ড নামে অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। গত ২০ নভেম্বর বিমান অভিযান শুরু হওয়ার পর, এরদোগান সন্ত্রাসীদের মূল উৎপাটন করার জন্য স্থল অভিযানেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পিকেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। মহিলা ও শিশু সহ ৪০ হাজার এর ও বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় এ সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে। ওয়াইপিজি হল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সিরিয়া শাখা।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি