মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩ হ্যাকাথনে খুলনা অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের দল ‘স্টর্ম ট্রুপার্স’। এই দলটিসহ মোট ৯টি দল বৈশ্বিক এ হ্যাকাথনের বৈশ্বিক রাউন্ডে প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে। খুবি থেকে এই প্রথম কোনো দল এ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে ও বৈশ্বিক রাউন্ডের জন্য মনোনীত হলো।
স্টর্ম ট্রুপার্সের সদস্যরা হলেন– খুবির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম লাবিব, জহির রায়হান, ওয়ালী উল্লাহ, রাশেদ জাওয়াদ খান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সাদিয়া আফরিন। তারা সবাই ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এই হ্যাকাথনের প্রাথমিক বাছাই পর্বে ২৫০-এর বেশি দল অংশগ্রহণ করে। নাসার দেওয়া ৩০টি চ্যালেঞ্জের যে কোনো একটি নিয়ে কাজ করতে হয় প্রতিটি দলকে এবং বানাতে হয় চার মিনিটের একটি ভিডিও। বাছাই পর্ব থেকে টিম স্টর্ম ট্রুপার্সসহ দেশের ৫০টি দল জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়। জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথন গত ৬ ও ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। ৩৬ ঘণ্টার এই হ্যাকাথনে সারাদেশ থেকে ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। স্টর্ম ট্রুপার্স যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছে, তা হলো ‘ডেভেলপিং দ্য ওরাকল অব ডিএসকভার’। মূলত এটি নাসার ডিএসকভার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের একটি চ্যালেঞ্জ। স্টর্ম ট্রুপার্স স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে একটি মেশিন লার্নিং মডেল তৈরি করেছে, যা সৌর ঝড়ের পূর্বাভাস ৯৫ শতাংশ সঠিকভাবে দিতে সক্ষম।
এদিকে স্টর্ম ট্রুপার্স হ্যাকাথনে খুলনা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার পথচলাকে আরও সুন্দর করেছে। ভবিষ্যতেও তারা সাফল্যের এই অগ্রযাত্রা ধরে রেখে জাতীয় পর্যায় ছাপিয়ে বিশ্ব পর্যায়েও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবে।